০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মনিরামপুরের রয়েল এখন গুগলের প্রোগ্রাম ম্যানেজার

আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সুতিকাগার “গুগলে” দ্যুতি ছড়াচ্ছেন অজপাড়াগা হতে উঠে আসা রাফসান রয়েল। তার ইচ্ছাই ছিল গুগলে কাজ করার। নানা চড়াই-উৎরাই ও সংগ্রামের পর তিনি গুগলে কাজ করার সুযোগ পান। আজ গুগলের মতো খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠানে নিজের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি এ গুগলে গ্লোবাল এ্যাফেয়ার্স-এ প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবে প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বাংলাদেশেরও সুনাম কুড়াচ্ছেন।
রাফসান রয়েল যশোরের মণিরামপুর উপজেলার নিভৃত হানুয়ার গ্রামের আসাদুজ্জামান রয়েল ও রহিমা রয়েল দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান। প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক আসাদুজ্জামানের তিন সন্তানের মধ্যে বড় রাফসান শিক্ষা জীবনের শুরু থেকেই ছিলেন প্রখর মেধাবি। শিক্ষার প্রতিটি স্তরে মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। পঞ্চম শ্রেণিতে টালেন্টপুলে বৃত্তি লাভসহ এসএসসি পরীক্ষায় মেধার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। ভর্তি হয়েছেন দেশ সেরা ঢাকা নটরডেম কলেজে। এইসএসসিতে ভাল ফলাফল করে লক্ষ্য অর্জনে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিষয়ে বিবিএ (ব্যাচেলর অব বিজনেস এ্যাডমিনিস্ট্রেশন) ভর্তি হন। পাশাপাশি টার্গেট পূরনে রবি’তে জব নেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স পরীক্ষায়ও মেধার স্বাক্ষর রাখেন। পরে বৃত্তি নিয়ে আমেরিকার ভ্যালপ্যারাইজো বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইন্টারন্যাশনাল কমার্স এন্ড পলিসি’তে মাস্টার্স অব সায়েন্স ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। যোগদান করেন বিশ্বখ্যাত তথ্য প্রযুক্তির সুতিকাগার গুগলে।
রাফসানের বাবা সাংবাদিক আসাদুজ্জামান রয়েল বলেন, সে ছোটবেলা থেকে সাংস্কৃতিক মনোভাবাপন্ন পরিবারে বেড়ে উঠেছে। তার (বাবার) হাত ধরে ডিবেটিং, বিজ্ঞান ক্লাবসহ নানান কাজে উৎসাহি ছিল। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বুয়েটে চান্স না পেয়ে কিছুটা কষ্ট পায়। কিন্তু তাদের (বাবা-মা) উৎসাহে রাফসান নিজেকে আবার সামলে নেন। শুরু হয় নতুন চ্যালেঞ্জ। তার বরাবরই আশা ছিল বিশ্বের সেরা প্রতিষ্ঠন গুগলে একদিন কাজ করবে।
সম্প্রতি রাফসান অল্প সময়ের ছুটিতে দেশে আসেন। এই সাংবাদিকপুত্রকে প্রেসক্লাবের পক্ষে দেওয়া হয় সংবর্ধনা। এসময় রাফসান বলেন, লক্ষ্য অটুট থাকলে সাফল্য আসবেই। আজ এ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে বিভিন্ন দেশে কাজ করার সুযোগ মিলেছে। দৃঢ় আত্মপ্রত্যায়ের বলে বলিয়ান হয়ে তিনি গুগলের মতো বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি এলাকাবাসীসহ দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

মনিরামপুরের রয়েল এখন গুগলের প্রোগ্রাম ম্যানেজার

প্রকাশ : ০৪:৪৮:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সুতিকাগার “গুগলে” দ্যুতি ছড়াচ্ছেন অজপাড়াগা হতে উঠে আসা রাফসান রয়েল। তার ইচ্ছাই ছিল গুগলে কাজ করার। নানা চড়াই-উৎরাই ও সংগ্রামের পর তিনি গুগলে কাজ করার সুযোগ পান। আজ গুগলের মতো খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠানে নিজের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি এ গুগলে গ্লোবাল এ্যাফেয়ার্স-এ প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবে প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বাংলাদেশেরও সুনাম কুড়াচ্ছেন।
রাফসান রয়েল যশোরের মণিরামপুর উপজেলার নিভৃত হানুয়ার গ্রামের আসাদুজ্জামান রয়েল ও রহিমা রয়েল দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান। প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক আসাদুজ্জামানের তিন সন্তানের মধ্যে বড় রাফসান শিক্ষা জীবনের শুরু থেকেই ছিলেন প্রখর মেধাবি। শিক্ষার প্রতিটি স্তরে মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। পঞ্চম শ্রেণিতে টালেন্টপুলে বৃত্তি লাভসহ এসএসসি পরীক্ষায় মেধার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। ভর্তি হয়েছেন দেশ সেরা ঢাকা নটরডেম কলেজে। এইসএসসিতে ভাল ফলাফল করে লক্ষ্য অর্জনে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিষয়ে বিবিএ (ব্যাচেলর অব বিজনেস এ্যাডমিনিস্ট্রেশন) ভর্তি হন। পাশাপাশি টার্গেট পূরনে রবি’তে জব নেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স পরীক্ষায়ও মেধার স্বাক্ষর রাখেন। পরে বৃত্তি নিয়ে আমেরিকার ভ্যালপ্যারাইজো বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইন্টারন্যাশনাল কমার্স এন্ড পলিসি’তে মাস্টার্স অব সায়েন্স ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। যোগদান করেন বিশ্বখ্যাত তথ্য প্রযুক্তির সুতিকাগার গুগলে।
রাফসানের বাবা সাংবাদিক আসাদুজ্জামান রয়েল বলেন, সে ছোটবেলা থেকে সাংস্কৃতিক মনোভাবাপন্ন পরিবারে বেড়ে উঠেছে। তার (বাবার) হাত ধরে ডিবেটিং, বিজ্ঞান ক্লাবসহ নানান কাজে উৎসাহি ছিল। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বুয়েটে চান্স না পেয়ে কিছুটা কষ্ট পায়। কিন্তু তাদের (বাবা-মা) উৎসাহে রাফসান নিজেকে আবার সামলে নেন। শুরু হয় নতুন চ্যালেঞ্জ। তার বরাবরই আশা ছিল বিশ্বের সেরা প্রতিষ্ঠন গুগলে একদিন কাজ করবে।
সম্প্রতি রাফসান অল্প সময়ের ছুটিতে দেশে আসেন। এই সাংবাদিকপুত্রকে প্রেসক্লাবের পক্ষে দেওয়া হয় সংবর্ধনা। এসময় রাফসান বলেন, লক্ষ্য অটুট থাকলে সাফল্য আসবেই। আজ এ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে বিভিন্ন দেশে কাজ করার সুযোগ মিলেছে। দৃঢ় আত্মপ্রত্যায়ের বলে বলিয়ান হয়ে তিনি গুগলের মতো বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি এলাকাবাসীসহ দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।